বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খালেদা জিয়া হবেন রাষ্ট্রপতি আর ছেলে তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী, এটাই মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
খালেদা জিয়া বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে ‘ভিশন ২০৩০’ তুলে ধরার পর তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে- তার রূপকল্প ‘ভিশন ২০৩০’তুলে ধরেছেন বিএনপি নেত্রী।
তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর ‘একক ক্ষমতায়’ ভারসাম্য আনবেন তারা।
তার এই কথায় অন্য পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া ওবায়দুল কাদের বলেন, “উনি কী করে রাষ্ট্রপতিকে সম্মান দেবেন? ক্ষমতায় থাকতে তো তিনি তার দলের রাষ্ট্রপতিকে বিনা কারণে অপসারণ করেছিলেন। দেশবাসী ভুলে যায়নি যে, বিএনপির সন্ত্রাসীদের হামলায় রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী জীবন বাঁচাতে মহাখালীর রেললাইন ধরে পালিয়ে ছিলেন।
“তার কথায় মনে হয়, তিনি রাষ্ট্রপতি আর তার দুর্নীতিবাজ পুত্র তারেককে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চান।”
সত্তরোর্ধ্ব খালেদা জিয়া দলের কাণ্ডারি হিসেবে থাকলেও প্রায় এক দশক ধরে বিদেশে অবস্থানরত তার ছেলে তারেক রহমানইদৃশ্যত দল পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যানতারেককে বিএনপির পরবর্তী কাণ্ডারী হিসেবে দেখছেন দলটির কর্মীরা।
২০০১-২০০৬ সাল মেয়াদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের কোনো দায়িত্বে না থাকলেও প্রভাবশালী ছিলেন তারেক রহমান।তার কারণেই খালেদার রাজনৈতিক কার্যালয় ‘হাওয়া ভবন’ সে সময় ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠে।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রেপ্তার হয়ে চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে লন্ডনে যান তারেক রহমান। তখন থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সেখানে আছেন তিনি।
দেশের আদালতে মুদ্রা পাচার মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও বহু মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।