বিশেষ প্রতিবেদন:
বিএনপি এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় একটা কথা বলে- আওয়ামী লীগকে নাকি তারা রাজপথে মোকাবেলা করবে। যদিও রাজপথে আওয়ামী লীগকে নামতে হয় না, ছাত্রলীগকে রাজপথে দেখলেই দেশবিরোধীরা লেজ গুটিয়ে পালায়। তখন তারা অজুহাত দেখায়- পুলিশ, প্রশাসন ছাড়া মাঠে নামলে নাকি তারা দেখিয়ে দিতে পারত! এসব শুনলে হাসবে যে কেউই।
আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড ছাত্রলীগের জন্ম আওয়ামী লীগের জন্মেরও এক বছর আগে, ১৯৪৮ সালে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে ছাত্রলীগ জড়িয়ে আছে নিবিড় অস্তিত্বের মত। ছাত্রলীগের অকুতোভয় পদচারণায় আওয়ামী লীগ সুসংহত অবস্থানে বিরাজমান, এটা মেনে নিতেই হবে। ছাত্রলীগ কখনও অন্যায়ের সামনে মাথা নত করেনি। ন্যায়ের পক্ষে, দেশের পক্ষে বুক চিতিয়ে লড়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী বা প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে ভয় করেনি ছাত্রলীগ, ইতিহাস সাক্ষী।
◙ ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রলীগ রাজপথে অকুতোভয় বীরের বেশেই খেলেছে পুলিশ-প্রসাশন ছাড়াই। বাঙালিকে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রসাশনের বিরুদ্ধে খেলে চ্যাম্পিয়ন হতে শিখিয়েছে ছাত্রলীগই।
◙ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগ পাকিস্থানি তাঁবেদার পুলিশ, সেনাবাহিনী, প্রসাশন সবার বিরুদ্ধে খেলেই জয় নিয়ে ফিরেছিল।
◙ ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে রাজপথে ছাত্রলীগ রক্ত দিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছিল পাকিস্থানি প্রসাশনের বিরুদ্ধে খেলে।
◙ ১৯৬৬ সালের ছয় দফার সময় ছাত্রলীগের বিপক্ষে ছিল পাকিস্থানি তাঁবেদার পুলিশ, সেনাবাহিনী সবাই। তবুও ছাত্রলীগ খেলছিল এবং জয় পেয়েছিল।
◙ ১৯৬৯ সালের গণঅভুথ্যানে ছাত্রলীগের বিপক্ষে ছিল পাকিস্থানি তাঁবেদার পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রযন্ত্র। তবুও ছাত্রলীগ খেলেছে এবং জিতেছে।
◙ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাথে পুলিশ, সেনাবাহিনী ছিল না। তবুও ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করেছিল।
◙ ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ছিলো বিপক্ষে। তবুও ছাত্রলীগ বিচলিত হয়নি। ছাত্রলীগ সেবারও দুর্দান্ত খেলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামক একটি মানচিত্র অঙ্কন করেছিল।
◙ ১৯৭৫-৯৬ পর্যন্ত ২১ বছর স্বৈরাচার জিয়া, এরশাদ ও খালেদা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের সাথে পুলিশ ছিল না। তবুও ছাত্রলীগ খেলছে, লীগের ২৭ হাজার নেতা-কর্মী রক্ত দিয়েছে, তবুও মাঠ ছাড়েনি।
◙ ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফ্রেবুয়ারির নির্বাচনের পর ছাত্রলীগের সাথে পুলিশ ছিল না। মাত্র ১৫ দিনে সরকারের পতন ঘটিয়ে তারপর মাঠ ছেড়েছে ছাত্রলীগ।
◙ ২০০১-০৫ পর্যন্ত ছাত্রলীগের বিপক্ষে পুলিশ, জেএমবি, খালেদা, নিজামি, তারেকের সরকার সবই ছিল। লীগের ১৭ হাজার নেতা-কর্মী প্রাণ দিয়েছে, কিন্তু ছাত্রলীগ খেলা ছাড়েনি।
◙ ২০০৬-০৮ সময়ে ১/১১-তে পুলিশ তো সাথে ছিলই না, সেনাবাহিনীও বিপক্ষে ছিলো। সবকিছুর বিপক্ষে খেলেই ছাত্রলীগ জিতছিল। তখন মইন ইউ আহমেদ অতিষ্ঠ হয়ে বলেছিল- ‘ছাত্রলীগ যতদিন আছে শেখ হাসিনার কিচ্ছু করা যাবে না।’
আইয়ুব, ইয়াহিয়া, ভুট্টো, জিয়া, এরশাদ, খালেদা, নিজামি, তারেক সবার সাথে রাজপথের খেলায় জিতেই আজকের জায়গায় এসেছে ছাত্রলীগ; আওয়ামী লীগকে এই অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। মনে রেখো, জয় বাংলার তেজোদৃপ্ত স্লোগানে পাহাড় ডিঙিয়ে সামনে যেতে ভয় করেনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের জনক বলেছিলেন, ‘দাবায় রাখতে পারবা না’।