বিশেষ প্রতিবেদন:
খুনি জিয়াউর রহমান সম্পৃক্ত ছিলেন ‘৭৫-এর ১৫ই আগস্টের সেই নৃশংসতায়। নরী-শিশুসহ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয় সেদিন। বিদেশে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। কিন্তু প্রতিহিংসা তার পিছু ছাড়েনি।
খুনি জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের পরিকল্পনায় গ্রেনেড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। সেই ২১শে আগস্টের নৃশংসতার মাস্টারমাইন্ড তারেকের ঘৃণ্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হন আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মী, আহত হন পাঁচ শতাধিক। যারা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই ক্ষত।
আবারও আসছে শোকের মাস আগস্ট। মাত্র ক’টা দিন বাকি। তৎপর হতে শুরু করেছে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, রাষ্ট্রীয় লুটপাট আর দুর্নীতিবাজের দল বিএনপি।
ঈদুল আজহার আগে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, কোরবানির আগেই মুক্তি পেয়ে যাবেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কিন্তু তা হলো না। আর এই মুক্তি আদায়ে ব্যর্থতা এবং বিএনপির অক্ষমতায় বিকল্প পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তারেক।
ঈদেও বিএনপি নেত্রী ছিলেন অবরুদ্ধ আর ক্ষমতাসীনরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ-উৎসব করলেন, এটা মানতে পারছেন না তারেক। তাই আগস্ট মাস ঘিরে জাতীয় স্থাপনায় চোরাগোপ্তা হামলা, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, দেশবাসীকে ভোগান্তির শিকার বানিয়ে দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়াতে গোপনে নিজের দলের চিহ্নিত কিছু ক্যাডার এবং জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের বিশেষ আদেশ দিয়েছেন তারেক। লন্ডনে তারেক রহমানের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখে, এমন একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে এমনটা জানা গেছে।
লন্ডনভিত্তিক একটি সূত্রের দাবি, কিছু মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পেলেও সব মামলায় জামিন না পাওয়ায় চরমভাবে হতাশ তারেক। এছাড়া খালেদার মুক্তি নিয়ে বিএনপির আন্দোলন জমাতে ব্যর্থতা, ক্ষমতাসীনদের সমীহ করে নীরবতা পালন করায় তারেক দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর চরম বিরক্ত। তাই আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে দিতে বিএনপির ক্যাডার এবং জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের গোপনে হামলার দায়িত্ব দিয়েছেন তারেক।
আগস্ট মাসকে পুনরায় শোকের মাসে পরিণত করতে ক্ষমতাসীন নেতা-কর্মী, জাতীয় স্থাপনায় হামলা করার বড় ধরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তারেক। যেখানে নেপথ্যে পাকিস্থানের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র মদদ রয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
সূত্রটি এও বলছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি আদায়ে চোরাগোপ্তা হামলা, দেশবাসীকে জিম্মি করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ দেখছেন না তারেক। আন্দোলন সংগ্রাম বাদ দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা, দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, প্রাণহানি ঘটানোর বিষয়ে এই মিশন হাতে নিয়েছেন তারেক।
যদিও দলটির মধ্যমপন্থী নেতারা এমন ভয়ঙ্কর মিশনের সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে তাদের ওপর, এটা জেনেই এমন মিশন সফল করা কঠিন বলে মনে করেন তারা। তাছাড়া বিএনপির প্রধান শক্তি জামায়াত সাংগঠনিকভাবে অনেকটাই দুর্বল। তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছে সরকার। তাই খালেদা জিয়ার মুক্তির মিশন কতটা সফল হবে, সেটি নিয়েও হতাশায় পড়েছেন তারা।