সময় এখন:
নান্দনিক লাইটিং পদ্মা সেতুকে রাতেও আলোকিত করে রাখবে দিনের মতোই। ছড়াবে রঙিন আলোর ছটা। চোখ ধাঁধানো এই আলো শুধু পদ্মাপাড়ের মানুষকেই নয়, আকৃষ্ট করবে পর্যটকদেরও। সেতুর নানা বৈচিত্রের অন্যতম আকর্ষণ এটি। তবে আর্কিটেকচারাল লাইটিংয়ের কাজ জুনে সড়কপথ উদ্বোধনের পরই শুরু হবে।
নকশায় দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফার মতো করে সেতুটি আলোকসজ্জিত করা হবে। বিশেষ দিবসে আলোকসজ্জায় বিমোহিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
রঙবেরঙের আলোর দ্যুতি ছড়াবে অবকাঠামো বা স্ট্রাকচারগুলোর মধ্যেই। আর্কিটেকচারাল লাইটিং নামে পরিচিত এই লাইটিং সেট করার সব ব্যবস্থা রেখেই পদ্মা সেতুর অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। পুরো সেতুর অবকাঠামো শেষ হবার পরই লাইটগুলো স্থাপন করা হবে।
আর অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ করেই জুনে উদ্বোধন হচ্ছে সেতুর সড়ক পথ। তবে আর্কিটেকচারাল লাইটিং কাজ শুরু হবে উদ্বোধনের পর।
ব্যতিক্রমী ও টেকসই লাইটগুলো নিয়ে আসা হচ্ছে চীন থেকে। নকশা অনুযায়ী এই লাইটের সংখ্যা আপডেট করা হচ্ছে এখন। তাই পুরো সেতুতে ব্যবহৃত লাইটের সংখ্যা কতো তা নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
কয়েক রকমের ব্যয়বহুল এই আর্কিটেকচারাল লাইটিংয়ের ব্যবহার দেশে এই প্রথম। লাইটিংয়ের কাজ শেষ হলে সেতুর সৌন্দর্য বিশেষ মাত্রায় পৌঁছাবে। বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক সেতুতে পরিণত হবে বাঙালির গর্বের পদ্মা সেতু।
তবে আর্কিটেকচারাল লাইটিংয়ে আরও কয়েক মাস সময় লাগলেও সেতুটি চালুর সময় ল্যাম্প পোস্টের মাধ্যমে সড়কবাতি রাতের সেতুকে আলোকিত করে রাখবে দিনের মতোই। মূল সেতুতে স্টিল ল্যাম্প পোস্ট লাগানোর অগ্রগতি ৪৪ শতাংশ।
নান্দনিক লাইটিং পদ্মা সেতুকে দেবে নতুন আরেক মাত্রা। সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানালেন, সড়কপথের উদ্বোধনের পরই শুরু হবে আর্কিটেকচারাল লাইটিংয়ের কাজ।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, আমরা এখন চাইলেও আর্কিটেকচারাল লাইটিংয়ের কাজ শুরু করতে পারছি না। আরও কিছুদিন পরে শুরু হবে।
মূল সেতুতে ৩২৮টি ল্যাম্প পোস্টের মধ্যে ১৪৪টি ইতিমধ্যে বসে গেছে। মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ। আর সার্বিক অগ্রগতি ৯১ শতাংশের বেশি। আগামী ২৩শে জুন সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে এখন চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। সময়নিউজ।