স্পেশাল করেসপন্ডেন্স:
সবসময় বাংলাদেশে কোনো ইস্যু তৈরি হলেই তাকে ক্যাশ করে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি। সরকারবিরোধী যে কোনো রাজনৈতিক দলের নিজস্ব আন্দোলনই হোক বা নির্দলীয় ছাত্রদের দাবি- সব কিছুকে পুঁজি করার পাঁয়তারা করে দলটি।
এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির সিন্ডিকেটের কারসাজিতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে সেই ইস্যুকে ক্যাশ করতে আন্দোলন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল বিএনপি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২০-২৫ জন নিয়ে যথারীতি ভোর বেলায় ঝটিকা মিছিল বের করে ফটোসেশন শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরে এসেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
হাতে গোণা কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে ঝটিকা মিছিল করায় নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে রিজভীকে। খোদ দলের ভেতরেই অপর নেতাদের কাছে হাসি-ঠাট্টার পাত্রে পরিণত হয়েছেন এমন কাণ্ডে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২০ জন নিয়ে মিছিল হয় না। পাড়ার দোকানে ছেলেরা আড্ডা মারলেও এর চেয়ে বেশি লোক হয়। এর চেয়ে দুঃখের বিষয়, বিএনপির সকল কার্যক্রম পল্টন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় ও প্রেসক্লাবেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এই মিছিল না করলে আরো বেশি ভালো হতো। কম লোক নিয়ে মিছিল করায় উল্টো সকলে বিএনপির সমালোচনা করার সুযোগ পাচ্ছে। হাসি-ঠাট্টা করছে লোকজন। এসবে বিএনপির বদনাম হচ্ছে।
তবে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, হঠাৎ করে আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়ায় বিএনপির রাজনীতিতে স্থবিরতা স্পষ্ট হয়েছে। মূলত অর্থাভাবে থমকে গেছে দলের রাজপথের বিভিন্ন কর্মসূচি।
ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিএনপি এলিটদের রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিতি পেলেও বিরোধী দলে পদার্পণ করার পর থেকে বিএনপির রাজনৈতিক দৈনদশা স্পষ্ট হয়েছে।
আমীর খসরু আরো বলেন, দলের ডোনাররা আমাদের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। ম্যাডাম এবং তারেক রহমানের পরিণতি বিবেচনা করে আখের গোছাতে দলকে প্রাধান্য না দিয়ে বিদেশে বিনিয়োগ করাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন দলটির বিত্তশালী নেতারা। যার কারণে বিএনপির কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের সমাগম কম দেখা যাচ্ছে।
আর্থিক সুবিধা করতে না পারায় আমাদের নেতা-কর্মীরা এখন দল বিমুখ হয়ে পড়ছেন এবং যার প্রভাব পড়ছে প্রতিটি কর্মসূচিতে। তবে এটি তেমন কোনো বিষয় নয়। আগামীতে আমরা টাকা যোগাড় করে বড় আন্দোলন গড়ে তুলবো। বি.এন.বি।