মাদ্রাসার ৭ ছাত্রকে পিটিয়েছে সেই ইসলামিক বক্তা!

0

সময় এখন:

ওয়াজের মাধ্যমে হলি আর্টিজান হত্যাকাণ্ডের মত জঘন্যতম ও নৃশংস ঘটনার নেপথ্যে উসকানিদাতা হিসেবে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ইসলামিক বক্তা আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ। তার নাতির বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ করায় মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে রাজ্জাকের মেজ ছেলে ইসলামিক বক্তা আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে।

বর্তমানে নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বেসরকারি টেভিভিশন চ্যানেল আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ১২ বছর বয়সী রামিম ইসলাম রিফাতকে কোরআনে হাফেজ করার স্বপ্ন নিয়ে রাজশাহী পবার ডাঙ্গীপাড়া এলাকার আল-জামিআহ আস সালাফিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করেন তার পরিবার।

কিন্তু মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের নাতির বিরুদ্ধে টাকা চুরি অভিযোগ করায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন রামিম।

বর্তমানে ওই শিশুটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪নং ওয়ার্ডে অসহ্য ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।

নির্যাতনের শিকার রামিমের বাবা মেরাজুল ইসলাম রিন্টু আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, গত ১৬ই মার্চ মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর টাকা হারানোর ঘটনা ঘটে। এ সময় আবদুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে এবং ওই মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ তোলেন রামিম।

এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রাবারের পাইপ দিয়ে বেপরোয়া পেটাতে থাকেন আবদুর রহমান। এ সময় বেশ কয়েকবার রামিম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে পরিবারের সদস্যরা রামিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আল-জামিআহ আস সালাফিয়া মাদ্রাসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহিদুল আলম মাহির আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ওইদিন রামিম ছাড়া আরও ৬ ছাত্রকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে।

এ বিষয়ে নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান আরটিভি নিউজকে জানান, মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।