কুমিল্লায় ২ দিনে একই মাদ্রাসার ৩ মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ

0

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় ২ দিনে একটি আবাসিক মাদ্রসার ৩ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ৩ শিশুই সম্পর্কে চাচাতো বোন।

সোমবার (২১শে মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার।

তিনি জানান, অভিযুক্ত আলী আকবরের (৫৫) বিরুদ্ধে বরুড়া থানায় দুটি ধর্ষণ মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ধর্ষণের শিকার শিশুদের স্বজনদের বরাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, স্থানীয় আবাসিক ও অনাবাসিক মিজবাহুল উলুম মহিলা ও নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাঠে প্রতিদিন খেলাধুলা করতো। মাদ্রাসাটি স্থানীয় আলী আকবরের বাড়ি থেকে ৩শ গজ দূরে। তাই মাদ্রাসার মাঠ থেকে প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা ওই বাড়ির আশপাশে খেলতে যেতো।

অভিযুক্ত আলী আকবর তার বাড়িতে দিনের বেশিরভাগ সময় একা থাকতো। গত ১৯ ও ২০শে মার্চও প্রতিদিনের মতো শিশুরা মাঠে খেলতে নামে এবং তার বাড়ির আশপাশে ঘুরতে যায়। এসময় তাদেরকে চকলেট ও ১০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে যায় আলী আকবর। পরে তাদেরকে আটকে রেখে একে একে ধর্ষণ করে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে আলী আকবর পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ৩ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগের দুইটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও শিশুদের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমরা অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি, বলেন ওসি।

পঞ্চগড়ে ছাত্র ধর্ষণের দায়ে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ে ছাত্রকে ধর্ষণের দায়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২১শে মার্চ) পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর সরকার এ নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তার মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত (৩৩) নীলফামারী জেলার গোরগ্রাম মাঝাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত গত ১১ই মার্চ রাতে ১২ বছর বয়সী ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রকে তার কক্ষে নিয়ে যায়। শেষ রাতের দিকে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ওই ছাত্র বাড়িতে চলে যায়।

বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যেতে আপত্তি জানালে তার বাবা না যাওয়ার কারণ জানতে চায়। এসময় সে বিষয়টি বাবাকে জানায়।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

সোমবার (২১শে মার্চ) দুপুরে ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে আসামি করে একটি মামলা করেন।

পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত ওই শিক্ষককে জেল হাজতে পাঠায়।

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।