অর্থনীতি ডেস্ক:
দিনাজপুরের হিলির পাইকারি বাজারে ১২ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমে কেজিপ্রতি হয়েছে ১৫ টাকা।
দেশের অন্যতম এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলির কয়েকটি পাইকারি পেঁয়াজের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, গত ৩রা মার্চ ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি এবং ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২৭ থেকে ২৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল।
তবে ১৪ই মার্চ দেখা গেল, নাসিক জাতের পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা এবং ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ১৫ই মার্চ সকাল থেকে আরও ২ টাকা করে কমেছে দাম।
পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আজিজ আহমেদ বলেন, ৩ দিন আগে এই বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছি। সে সময় ভারতের ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমি ২৪ টাকা কেজিতে কিনেছি। আজকে ১৬ টাকা কেজি দরে কিনলাম।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাইফুল হক বলেন, মার্চ মাসের প্রথম দিকে ভারতের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। সে সময় পেঁয়াজের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এ কারণে ভারত থেকে ঠিকমতো পেঁয়াজ আসছিল না। যার প্রভাবে হিলিতে দাম বেড়েছে। এখন আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তাই দাম কমে গেছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাজধানীতে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে এই দর ছিল ৪৫ থেকে ৬০ টাকা।
অর্থাৎ রাজধানীতেও সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা বা ২৩ শতাংশ।
পোশাককর্মীদের জন্য টিসিবির পণ্য চায় বিজিএমইএ
তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের জন্য স্বল্প মূল্যে টিসিবির পণ্য চায় তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সংগঠনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা পোশাক কারখানা অধ্যুষিত ৪০টি স্থানে টিসিবির ট্রাক দেয়ার অনুরোধ করেছি। যাতে শ্রমিকরা কম দামে নিত্যপণ্য পেতে পারেন। এ বিষয়ে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। টিসিবি সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে।
আমরা অনুরোধ করেছি এসব ট্রাক যেন বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাখা হয়। কারণ শ্রমিকরা চাইলেই কারখানা থেকে বের হয়ে পণ্য কিনতে পারবেন না। তারা কারখানার ডিউটি শেষে যেন পণ্য নিতে পারেন তার জন্য রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রাক রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
শ্রমিকদের আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে, এতে শ্রমিকদের সমস্যা হচ্ছে। তাদের সহযোগিতার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পোশাক খাতের সবগুলো সংগঠন এ নিয়ে বৈঠকও করেছে। তাছাড়া শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট সেটাও চালু আছে।