আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বাইডেন ছাড়াও তার ছেলে হান্টার, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন, সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস, হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকিসহ অন্য কর্মকর্তারাও এই তালিকায় রয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি বছরের ১৫ই মার্চ থেকে পশ্চিমাদের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার জবাবে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এল. অস্টিন ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এম মিল্লি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা রয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও যুক্তরাষ্ট্রের এসব কর্মকর্তাদের জন্য সব সময় দরজা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসাথে লুকাশেঙ্কোর স্ত্রী হালিনার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ থাকলে তা জব্দ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে রাশিয়া।
কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন তিন দেশের প্রধানমন্ত্রী
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলেদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীরা কিয়েভ সফরে যাবেন। পোল্যান্ড সরকারের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার জন্য সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন নিশ্চিত করাই এই সফরের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে পোল্যান্ড সরকার।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেয়ুজ মোরাভিয়েস্কি বলেন, এই সফরের উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেন এবং ইউক্রেনীয়দের প্রতি আমাদের সমর্থনকে বিস্তৃতভাবে উপস্থাপন করা।
চেক প্রধানমন্ত্রী পিটার ফিয়ালা বলেন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের এই আনুষ্ঠানিক সফরের লক্ষ্য ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা।