আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। পুতিনের প্রতি এক বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, আমি কামড়াই না। তাহলে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসতে আপনি ভয় পাচ্ছেন কেন?
কমেডিয়ান থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া জেলেনস্কি বলেন, লড়াই থামানোর একমাত্র পথ হলো, পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা।
পুতিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা তো রাশিয়া আক্রমণ করিনি। আমাদের সেরকম কোনো ইচ্ছেও ছিল না। এখন আপনি আমাদের কাছ থেকে কী চান? আপনি আমাদের মাটি থেকে চলে যান। আপনি আমার সঙ্গে আলোচনায় বসুন।
পশ্চিমা দেশগুলির প্রতি জেলেনস্কি বলেন, আপনাদের যদি আকাশসীমা বন্ধ করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে আমাদের আরও বিমান দিন। আর একটা কথা মনে রাখবেন, আমরা যদি না থাকি, তাহলে এরপর লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়ার পালা। আমার এই কথাটা আপনারা মনে রাখতে পারেন।
কয়েক সপ্তাহ আগে জেলেনস্কি বলেছিলেন, কেউ বিশ্বাস করে না, আধুনিক সমাজে কেউ এমন বর্বরের মতো আচরণ করবে।
কিন্তু রাশিয়া শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ভুল ভেঙেছে জেলেনস্কির।
ইউক্রেনে হামলা থামাতে রাজি নন পুতিন, দাবির ম্যাক্রোঁর
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থামানোর জন্য বারবার কূটনৈতিক পথে আলোচনার চেষ্টা করছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি আবার ফোন করেছিলেন পুতিনকে। দেড় ঘণ্টা ধরে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে।
ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ফোনে কথা বলার পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পুতিন পুরো ইউক্রেন দখল করতে চান।
পুতিন নিজেও বলেছেন, তিনি ইউক্রেনকে নব্য-নাৎসিদের হাত থেকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত যাবেন।
ম্যাক্রোঁ জানান, পুতিনের সঙ্গে কথা বলে তার মনে হয়েছে, আরও ভয়ংকর সময় আসছে। তার জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার। পুতিনও জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের অভিযান পরিকল্পনা মাফিক চলছে। তিনি নব্য-নাৎসিদের হাত থেকে পুরো ইউক্রেনকে মুক্ত করতে চান।
তিনি মনে করেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে কোনো ফারাক নেই।
ম্যাক্রোঁ পরে টুইট করে বলেন, পুতিন ইউক্রেনে হামলা থামাতে রাজি নন। কিন্তু মানবিক বিপর্যয় রোধ করতে আলোচনা দরকার। আমি সেই প্রয়াস চালিয়ে যাব। আমাদের আরও ভয়ংকর পরিণতি এড়িয়ে যেতে হবে।