আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার ওপর অবরোধ বা স্যাংশন আরোপ, নিষেধাজ্ঞা জারি করার নানারকম পশ্চিমা খেলার বিরুদ্ধে পাল্টা অ্যাকশন নিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার জন্য আকাশ ছোট করে আনার বিপরীতে একই পদক্ষেপ নিয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ৩৬টি দেশের উড়োজাহাজের জন্য তাদের আকাশসীমা ব্যবহার সোমবার থেকে নিষিদ্ধ করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর অংশ হিসেবে ইউরোপের দেশগুলো তাদের আকাশে রাশিয়ার বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচলও নিষিদ্ধ করেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন রোববার বলেন, আমাদের আকাশপথ রাশিয়ার প্রতিটি উড়োজাহাজের জন্যই বন্ধ। এমনকি ব্যক্তিগত ও কার্গো বিমানের জন্যও।
এই কারণে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তার জেনিভা সফর বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের রাশিয়া দূতাবাস। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় যোগ দিতে ল্যাভরভের যাওয়ার কথা ছিল।
রুশ বিমানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবেই ৩৬টি দেশের জন্য নিজেদের আকাশ পথ বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দেশ রাশিয়া।
যুক্তরাজ্য, জার্মানি ছাড়াও এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি, স্পেন, ইতালি, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, লিথুনিয়া, পোল্যান্ড, নরওয়ে, রোমানিয়া, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেক, সুইডেন, এস্তোনিয়া, ডেনমার্ক ইত্যাদি।
দুই পক্ষের এমন পাল্টপাল্টি পদক্ষেপে বিমান সংস্থাগুলো বিপাকে পড়েছে।
রাশিয়ার আকাশসীমা এড়াতে অনেক ফ্লাইটকে অনেক বেশি দক্ষিণে সরতে হবে, কারণ মাঝে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে বলে ওই এলাকাও এড়িয়ে যাচ্ছে বিমানগুলো।
পথে দৈর্ঘ্য এভাবে বেড়ে গেলে বিমানে জ্বালানি খরচ বাড়বে বলে টিকেটের দামও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার ব্যাংক ও ধনকুবেরদের ওপর নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ভাবছে মস্কো। দেশটির নিরাপত্তা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভের কথায় তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে মেদভেদেভ বলেছেন, বিদেশি ব্যক্তি ও কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা যায়, এগুলো জাতীয়করণ করা যায়।