আজ ২২ নভেম্বর: ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর গণহত্যা দিবস

0

সময় এখন ডেস্ক:

আজ ২২ নভেম্বর ফটিকছড়ির শোকাবহ কাঞ্চননগর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ওই ইউনিয়নের ১৯ জন মুক্তিকামী মানুষকে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দালাল রাজাকারদের সহায়তায় নির্মমভাবে হত্যা করে।

পবিত্র ঈদ উল ফিতরের পরের দিন এ নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। আগের দিন অর্থাৎ ঈদের দিন লেলাং ইউনিয়নে ২৯ জন নিরীহ বাঙালিকে হত্যাকাণ্ড শেষ করে পরদিন পার্শ্ববর্তী কাঞ্চননগর ইউনিয়নে প্রবেশ করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে।

স্থানীয় রাজাকার তাহের মিয়া, শমসু প্রমুখকে সাথে নিয়ে ২০/২৫ জনের পাকিস্থানি সেনার দল প্রথমে উক্ত এলাকায় ঢুকে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে খুঁজে খুঁজে বের করে সেখান থেকে ১৪ জনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়। অতঃপর তাদের স্থানীয় গোমস্তা পুকুর পাড়ে এনে বার্স্টফায়ার করে হত্যা করা হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহাম্মদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বেঁচে যান। তাকে স্থানীয়রা চিকিৎসা দিয়ে সারিয়ে তোলেন। বাকি ১৩ জন শহিদ হন।

এখানে যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন তারা হলেন- জেবল হোসেন, মোহাম্মদ ইসলাম, আব্দুল করিম, ফজল করিম ভোলা, আহাম্মদ হোসেন কালু, নুরজাহান বেগম, ওমদা খাতুন, জাকির হোসেন, আলী হোসেন, নুরুল আলম, শফিউল আলম, নিকুঞ্জ শীল ও মফজল আহাম্মদ।

উক্ত হত্যাকান্ড শেষ করে পাকিস্থানি বাহিনীর দলটি রাজাকারদের সাথে নিয়ে একই ইউপির মানিকপুর গ্রামে বেলা ১টার দিকে প্রবেশ করে সেখান থেকে আরো ৬ জনকে ধরে রক্তছড়ি খালের পাড়ে নিয়ে গিয়ে সার বেঁধে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে লাশ রক্তছড়ি খালে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

যাবার সময় তারা উক্ত ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান মরহুম ফজল বারীর বাড়ী, সেয়ান পাড়া, মাইজ পাড়া প্রভৃতি গ্রাম আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে ছারখার করে দিয়ে যায়।

এখানে শহিদরা হলেন- শামসুল আলম, শাহ আলম, আবু তাহের, বদন মিয়া, হেদায়েতুল হক বিএসসি ও মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।

গোমস্তাপুকুর পাড় বধ্যভুমিতে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হলেও রক্তছড়ি বধ্যভূমিতে আজও কোন স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়নি। যা শহিদদের স্বজনদের মনে এখনও পীড়া দেয়।

কৃতজ্ঞতা: মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনো ফেসবুক পেজ

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।