আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কুমিরের নাকে আঙুল ঢুকিয়ে দিয়ে নিজের ৩ বছরের সন্তানকে বাঁচালেন মা। আর এ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে রাতারাতি নায়ক বনে গেছেন জিম্বাবুয়ের সেই নারী। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির গোরানেঝৌ জাতীয় উদ্যানের কাছে রান্ডার নদীর ধারে।
নিজের ২ ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে রান্ডার নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ৩০ বছরের মাউরিনা মুসিসিনয়ানা। ছেলেদের নদীর ধারে ছাতার তলায় রেখে ধরছিলেন মাছ। হঠাৎ চিৎকার শুনতে পান তিনি। ছুটে গিয়েই তিনি দেখেন একটা কুমির তার ৩ বছরের ছেলে জিডিয়নকে মুখে করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তা দেখে এক মুহূর্ত দেরি না করে, কুমিরের কাছে গিয়ে তার নাক আঙুল দিয়ে বন্ধ করে দেন। তাতে শ্বাস নেয়ার জন্য কুমিরের চোয়াল আলগা হতেই অন্য হাত দিয়ে কুমিরের গ্রাস থেকে ছাড়িয়ে নেন ছেলেকে। কুমির পানিতে টেনে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার কবল থেকে মাউরিনা বাঁচিয়ে নেন সন্তানকে।
জিম্বাবুয়ের একটি সংবাদমাধ্যমকে এ ব্যাপারে মাউরিনা বলেছেন, চিৎকার শুনতে পেয়েই ছুটে যাই আমি। তারপরই দেখি ছেলেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে বিশালাকার এক কুমির। বড়দের কাছে শিখেছিলাম কুমিরের নাক বন্ধ করলে তার শক্তি কমে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আঙুল দিয়ে কুমিরের নাক বন্ধ করার চেষ্টা করি।
জানা গেছে, এই ঘটনার পরই মাউরিনা তার ছেলেকে নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানে জিডিয়নের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসাতে ছোট্ট ছেলেটি ভালোই সাড়া দিচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থারও উন্নতি হয়েছে।
বগুড়ায় করোনা ঝুঁ’কিতেও মাছ ধরার ধুম
করোনার মধ্যেই বগুড়ার ধুনট উপজেলার মধুপুর-গোয়ালভাগ গ্রামের মালজানি নামে একটি জলাশয়ে ছিপ দিয়ে মাছ ধরার ধুম পড়েছে। সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছেন না অনেকেই। তারা জানেন না, লকডাউন ও হোম কোয়ারান্টাইন কী? তাদের হাতে-মুখে নেই সুরক্ষার সামগ্রী। তাদের কাছে সব কিছুই উপেক্ষিত।
দুই গ্রামের মাঝ দিয়ে বহমান মালজানি জলাশয়টি। জলাশয়ের তীরে বসে পানিতে ছিপ ফেলে শতাধিক মানুষ সারাদিন মাছ ধরছেন নানান বয়সের মানুষ। ধরা পড়ছে পুঁটি, কৈ, টেংরা, রুই, কাতলাসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
দেখা গেছে, করোনায় কর্মহীন মানুষেরা জীবিকা নির্বাহের তাগিদে মাছ ধরছেন। বাজারে এই মাছ বিক্রি করে তারা সংসার চালান।