‘মোসলেহউদ্দিন জাতীয় চার নেতা হ’ত্যায়ও নেতৃত্ব দেয়’

0

সময় এখন ডেস্ক:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খু’নি রিসালদার (বরখা’স্ত) মোসলেহউদ্দিনকে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে আটক করা হয়েছে বলে বিভিন্ন ভারতীয় মিডিয়া খবর দিয়েছে। এই ব্যক্তি শুধু বঙ্গবন্ধু হ’ত্যাই নয়, জাতীয় চার নেতা হ’ত্যাকাণ্ডেও নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে জানা যায়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী চার জাতীয় নেতা- যু’দ্ধকালীন সরকারের অ’স্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী এম মনসুর আলী ও মন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামানকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে নি’র্মমভাবে হ’ত্যা করা হয়।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধুকে হ’ত্যার পর একদিন বঙ্গভবনে খু’নি চক্রের বৈঠকে আলোচনায় আসে তারা যেভাবে রাষ্ট্রপতিকে হ’ত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেছে, তাদেরকে সরিয়ে একদিন অন্য কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এমন পরিস্থিতিতে জেলে আটক জাতীয় চার নেতাকে ক্ষমতায় বসানোর সম্ভাবনাই বেশি।

সেই সভায় তারা সিদ্ধান্ত নেয়, তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে জেলে গিয়ে চার নেতাকে হ’ত্যা করতে হবে। রিসালদার মোসলেহউদ্দিন আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে জেলে গিয়ে এ কাজটি করবে। বিচারে ফাঁ’সিতে দ’ণ্ডিত মোসলেহউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল খু’নি ১৫ আগস্ট শেখ ফজলুল হক মণিকে হ’ত্যা করে। জানা যায়, ১৯৭৫-এর ৩ নভেম্বর ভোরে ওই মোসলেহউদ্দিনই চার নেতা হ’ত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দেয়।

নিজের নাম-পরিচয় বদলে ফেলে মোসলেহউদ্দিন

মোসলেহউদ্দিন নিজের নাম-পরিচয় বদলে ফেলেছেন। তার নতুন নাম রাখা হয়েছে রফিকুল ইসলাম খান। পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে এ নামেই তার পরিচয় দেয়।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মোসলেহউদ্দিনের ছেলে-মেয়ে ও পুত্রবধূ নতুন নামেই তাদের বাবা পরিচয় দিচ্ছে। এমনকি তাদের পিতার নামের স্থানে রফিকুল ইসলাম খানের নামেই পরিবারের সব সদস্য জাতীয় পরিচয়পত্র পান।

মোসলেহউদ্দিনের ৫ ছেলে ও ১ মেয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রে সবকিছু ঠিক থাকলেও শুধু পিতার নাম বদল করা হয়েছে। তার নামের জায়গায় লেখা হয়েছে রফিকুল ইসলাম খান।

৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর হ’ত্যাকাণ্ডের পর নরসিংদী জেলার শিবপুরের দত্তেরগাঁও এলাকায় বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন মোসলেহউদ্দিন। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হ’ত্যা মামলার তদন্ত শুরু হলে তার বাড়িসহ বেশকিছু সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে ক্রোক করা হয়। এরপরই খু’নি রিসালদার মোসলেহউদ্দিন পালিয়ে যান।

মোসলেহউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা পরে নরসিংদী এলাকায় ফিরে আসেন। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে সরকারি সব ধরনের কাগজপত্রে তাদের পিতার নাম হয়ে যায় রফিকুল ইসলাম খান।

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।