যেভাবে করোনার রোগীর নমুনা সংগ্রহ, প্রেরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে

0

ফিচার ডেস্ক:

বিশ্বজুড়ে আত’ঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস। এরই মধ্যে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ মারণ এই ভাইরাসে আক্রা’ন্ত হয়েছে। মৃ’ত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষের। বর্তমান অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বেশি বেশি পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের তাগাদা দিলেও অনেক দেশেই সেটা সম্ভব হচ্ছে না। মাঠ পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ করার জন্য প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবে পর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। অনেকক্ষেত্রে সঠিক প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ না করায় কিছু নমুনা ন’ষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে কিভাবে সঠিক নিয়মে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে সে বিষয়ে একটি দিক নির্দেশনা দিয়েছে মার্কিন সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজেস অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টার (সিডিসি)।

নমুনা যারা নাড়াচাড়া করবেন, সেই সব টেকনিশিয়ান বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মাথায় রাখতে হবে তারা সম্ভাব্য সংক্রা’মক বস্তুর সংস্পর্শে আসছেন। পিপিই ব্যবহার এবং হাতের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিষয়টি তাদের মাথায় রাখতে হবে।

নমুনা কীভাবে সংগৃহীত ও পরিবহণ করা হয়?

নাক ও গলা এবং শ্বাসনালীর মিলনস্থল থেকে কফ বা লালা সংগ্রহ করতে হবে ডেক্রন বা পলিয়েস্টার মোড়া সোয়াব দিয়ে, যা ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে হবে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায়। যদি ৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়, তাহলে তা ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষিত রাখতে হবে, যদি ৫ দিনের বেশি সময় লাগে তাহলে তা সংরক্ষণ করতে হবে -৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায়।

যদি দু’ধরনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, তাহলে ভাইরাল লোড বাড়াবার জন্য একই টিউবে সংরক্ষণ করতে হবে। সিডিসি বলেছে, যাদের দু’ধরনের নমুনাই সংগৃহীত হয়েছে তাদের সোয়াব একই টিউবে মিশিয়ে দিতে হবে যাতে পরীক্ষার সংবেদনশীলতা ভাইরাল লোড বাড়ার মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়- এতে টেস্টিং রিসোর্সের ব্যবহার সীমিত করা সম্ভব হবে।

নমুনা সংগ্রহের সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীর পিপিই পরা প্রয়োজন এবং সমস্ত রকমের বায়োসেফটি উপায় অবলম্বন করা উচিত। একবার নমুনা সংগ্রহের পর টেকনিশিয়ান বা স্বাস্থ্যকর্মীরা সেগুলি ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়ামসহ জীবাণুমুক্ত পাত্রে রেখে নমুনা ভায়ালের গলা প্যারাফিল্ম দিয়ে বন্ধ করে রাখবেন।

ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়াম বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত হয় এবং স্থানীয়ভাবেও তৈরি করে নেওয়া যায়। এরপর ওই ভায়াল শোষণক্ষম কিছু দিয়ে মুড়তে হবে এবং তার পর ২য় একটি পাত্রে রাখতে হবে। এরপর তা লিকপ্রুফ কোনও কন্টেইনার যেমন- জিপলক পাউচ, ক্রায়োবক্স, ৫০ মিলিলিটার সেন্ট্রিফিউগ টিউব বা প্লাস্টিকের পাত্রে ভরে গলা পর্যন্ত সিল করতে হবে।

প্লাস্টিকের পাত্র এরপর থার্মোকলের বাক্স, আইস বক্স বা হার্ডবোর্ডের বক্সে ভর্তি হবে যা বরফায়িত জেল পদার্থ দিয়ে মোড়া থাকবে। নমুনার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও যেখানে পরীক্ষা হবে, সেই ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে হবে।

Spread the love
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।