স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক:
বর্তমানে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে আরটি পিসিআর পদ্ধতিতে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, এর বাইরে আরও ১১টি প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতি প্রসারিত করার জন্য আরও ১১টি প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হচ্ছে, তারা আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে।
নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঢাকার বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ, দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ আর ঢাকার ভেতরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট। এছাড়াও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও কাজ চলছে।
প্রসঙ্গত, ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হবার পর আজ মঙ্গলবার ২০৯ জন শনাক্ত হয়েছেন, মা’রাও গেছেন ৭ জন। যা শনাক্ত এবং মৃ’ত্যুর সংখ্যায় সর্বোচ্চ। একইসঙ্গে হাজার ছাড়ালো কোভিড-১৯ আক্রা’ন্ত রোগীর সংখ্যা। মোট রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১২ জন আর মা’রা গেছেন ৪৬ জন। এখন পর্যন্ত ৪২ জন সুস্থ হয়েছেন বলেও জানান অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ১৯টি হোটেল
রাজধানীর ৬টি হাসপাতালে করোনা আক্রা’ন্ত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য ১৯টি হোটেল নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিষয়টি জানিয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মো. আমিনুল হাসান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন। রবিবার (১২ এপ্রিল) চিঠি দেওয়া হলেও আজ মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিপ্তরের এই সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।
চিঠিতে কোভিড-১৯ আক্রা’ন্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৬টি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সদস্যের জন্য নির্ধারিত ১৯টি হোটেলের নামসহ প্রয়োজনীয় কক্ষের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়।
৬টি হাসপাতালের সেবাদানকারীদের জন্য নির্ধারিত হোটেলগুলো হচ্ছে— কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপালের জন্য ঢাকা রিজেন্সি। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য হোটেল অবকাশ, হোটেল জাকারিয়া, হোটেল রেনেসাঁ, ঢাকা রিজেন্সি, রেডিসন ব্লু, সোনারগাঁ, লেকভিউ ও লা মেরিডিয়ান।
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের জন্য উত্তরার হোটেল মেলোলিফ ও হোয়েল মেলিনা। মিরপুরের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রান্ড প্রিন্স, হোটেল শ্যামলী ও হোটেল ড্রিমল্যান্ড। মহানগর জেনারেল হাসপাতালের জন্য রাজমনি ঈশাখাঁ, ফারস হোটেল ও হোটেল ৭১। রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের জন্য হোটেল সাগরিকা, হোটেল গ্র্যান্ড সার্কেল ইন এবং হোটেল শালিমারের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।