আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী মহামা’রি রূপ নেয়া করোনা ভাইরাসের কারণে বিপ’র্যস্ত বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। এমন অবস্থায় করোনা আক্রা’ন্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চিকিৎসা পেশায় ফিরেছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডা. লিও ভারাদকার।
স্থানীয় আইরিশ টাইমসের বরাত দিয়ে বিবিসি ও স্কাই নিউজ এই খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, গত মাসে চিকিৎসক হিসেবে পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন লিও ভারাদকার। তিনি অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মতো শিফট অনুযায়ী কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
আইরিশ পার্লামেন্টে নির্বাচিত হওয়ার আগে হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন ভারাদকার। তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার ১ বছর আগে ২০১৩ সালে চিকিৎসা পেশা ত্যাগ করেন।
ভারাদকার তার যোগ্যতা অনুযায়ী একটি হাসপাতালে সাপ্তাহিক শিফটে কাজ করবেন। আপাতত তিনি ফোনে রোগীদের সেবা দিবেন।
যারা স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ শেষ করে অবসরে গিয়েছেন বা অন্য পেশায় রয়েছেন তাদেরকে পুনরায় স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক সাবেক স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজে ফিরতে আবেদন করেছেন।
৪১ বছর বয়সী ভারাদকার ভারতীয় চিকিৎসক ও আইরিশ নার্স দম্পতির সন্তান। তিনি ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করেন।
আয়ারল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রা’ন্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৯৪ জন এবং মৃ’ত্যু হয়েছে ১৫৮ জনের।
বাংলাদেশের জন্য ব্রিটেন বরাদ্দ দিয়েছে ২১ মিলিয়ন পাউন্ড
করোনা ভাইরাসের মহামা’রি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ২১ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ২১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার তহবিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। তবে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা খাতে ব্যয় করা হবে তহবিলের পুরো টাকা।
সোমবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। তহবিলের অর্থ কোথায় খরচ হবে তার একটি হিসাবও দেওয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রে জাতীয় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রস্তুতির জন্য ২১ মিলিয়ন পাউন্ডের তহবিল থেকে প্রায় সমান অর্থ ব্যয় করা হবে।
ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও ও বিশ্ব ব্যাংকের মতো সংস্থার মাধ্যমে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) ক্রয়, টেস্টিংয়ের জন্য ল্যাবরেটরির উপকরণ এবং হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ৭ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের ২০টি শহরে বস্তিবাসীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি ও তাদের হাত ধোয়ার স্থান নির্মাণের জন্য ইউএনডিপি ৩ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করবে।
আর বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাধ্যমে সারাদেশে ৫০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী স্থানীয়ভাবে সচেতনতা তৈরির কাজ করছে উল্লেখ করে সংস্থাটির জন্য ১ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা তৈরি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, সাবান বিতরণ, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা বৃদ্ধির ব্যবস্থার জন্য জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে বাকি ১০ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়া হবে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।