বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক:
স্তন ক্যান্সার নারীদের কাছে এক আত’ঙ্কের নাম। কারণ এই রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ শনাক্ত করা গেলে এ থেকে অল্পতেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
প্রায় ৫০ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে আক্রা’ন্ত নারী ৩য় পর্যায়ে (থার্ড স্টেজ) চিকিৎসকের কাছে আসেন। স্তন ক্যান্সারে আক্রা’ন্ত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ রোগী একেবারে অন্তিম পর্যায়ে (ফোর্থ বা লাস্ট স্টেজ) চিকিৎসা শুরু করেন।
চিকিৎসা দেরির ফলে স্তন ক্যান্সারে আক্রা’ন্তদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশেরই মৃ’ত্যু হচ্ছে এই রোগে। তাই প্রয়োজন উপযুক্ত সচেতনতার।
প্রথমে শনাক্ত করা গেলে এই ক্যান্সার প্রাণঘা’তী হতে পারে না। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ শনাক্তের জন্য আলো দেখাচ্ছে এক ভারতীয় সংস্থার তৈরি থার্মাল সেন্সর ডিভাইস।
সংস্থাটির দাবি, এই ডিভাইসটি মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে সক্ষম।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত বিশেষ এই থার্মাল সেন্সর ডিভাইস তৈরি করেছে চিকিৎসক গীতা মঞ্জুনাথের সংস্থা নিরাময় (NIRAMA)। ড. মঞ্জুনাথ জানান, স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে ম্যামোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে ৪৫ বছরের কম বয়সী নারীদের স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে সাফল্যের হার আশাব্যঞ্জক নয়।
তবে নিরাময় এর তৈরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত সেন্সর এই ডিভাইসটি স্তনের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে ছবি তুলে তার অ’স্বাভাবিকতার বিষয়গুলোকে শনাক্ত করে ও বিশ্লেষণ করে। আর এ জন্য সময় লাগে বড়জোর ১৫ মিনিট।
এই থার্মাল সেন্সর ডিভাইসটি ২৫ হাজারেরও বেশি নারীর ওপর পরীক্ষা করে দেখেছে নিরাময়। ডিভাইসটি দেশের ১২টি শহরের (বেঙ্গালুরু, মাইসুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লি) ৩০টিরও বেশি হাসপাতালে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ৫০ কোটি টাকার তহবিলও পেয়েছে নিরাময়। এই থার্মাল সেন্সর ডিভাইসটির সাহায্যে প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে অনেক নারীর জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ড. মঞ্জুনাথ।
তথ্যসূত্র: জি নিউজ