স্পোর্টস ডেস্ক:
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর করেছিল বাংলাদেশ, এরপর নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে রেকর্ড রানে জিতলো। ৩৯.১ ওভারে ১৫২ রানে আফ্রিকান প্রতি’পক্ষকে অলআউট করে রেকর্ড ১৬৯ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে তারা সর্বোচ্চ ১৬৩ রানে জিতেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৮ সালে ঢাকায়।
লিটন দাসের ২য় ওডিআই সেঞ্চুরিতে সিলেটে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ৩২১ রান, যা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের সর্বোচ্চ রান। গরমে কাহিল হওয়া লিটন ৩৭তম ওভারে ১২৬ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন। মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটি এবং মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ছোটখাটো ঝড় বাংলাদেশকে এনে দেয় চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
৪১ বলে ৫০ রান করেন মিঠুন। ২৮ বলে ৩২ রানে মাহমুদউল্লাহ আউট হলেও সাইফ ১৫ বল খেলে ২৮ রানে অ’পরাজিত ছিলেন।
বড় লক্ষ্য দেওয়ার পর জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে বাংলাদেশের লেগেছে মাত্র ১০ বল। ২য় ওভারে তিনাশে কামুনহুকামবেকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাতে ১ রানে বিদায় নেন ওপেনার, দলের স্কোরও ছিল একই।
৮ম ওভারের প্রথম বলে চামু চিভাভাকে এলবিডাব্লিউর আবেদন করে সফল হন সাইফ। কিন্তু রিভিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। তিনি বাঁচলেও ওই ওভারেই রিভিউ নিয়ে একটি উইকেট পান ডানহাতি ফাস্ট বোলার। রেগিস চাকাভার বিরু’দ্ধে এলবিডাব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার না বলে দেন, এবার রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ। ১১ রানে মাঠ ছাড়েন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান।
পরের ওভারে মাশরাফি মুর্তজা নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক চিভাভার উইকেট। মিড অনে মাহমুদউল্লাহ ক্যাচ নেন। ১০ রানে ফেরেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার। গত বিশ্বকাপে ৫ জুলাই লর্ডসে পাকিস্থানের বিপক্ষে এর আগে শেষবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেন মাশরাফি। ৮ মাস পর মাঠে নেমে ২য় ওভারেই উইকেট উদযাপন করলেন।
গত বছরের জুলাইয়ে কলম্বোতে শেষ ওয়ানডে খেলা তাইজুল ইসলাম ৭ মাস পর রঙিন জার্সিতে ফিরে উইকেট উদযাপন করেন ২য় ওভারেই। ব্রেন্ডন টেলরের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি। ১৫ বলে ৮ রান করে বোল্ড হন টেলর। ৪৪ রানে জিম্বাবুয়ে হারায় ৪ উইকেট।
এরপর জিম্বাবুয়ে প্র’তিরোধ গড়ে সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধেভেরের জুটিতে। স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান যোগ করে ভেঙেছে এ জুটি। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন সিকান্দার, করেন ১৮ রান।
পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরান মাধেভেরেকে। ৪৪ বলে ৫ চারে ৩৫ রান করে মাশরাফির হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান। ৮৪ রান করতেই ৬ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
১০৬ রানে জিম্বাবুয়ের ৭ম উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ রান আউট করে। নাজমুল হোসেন ও মুশফিকুর রহিমের যোগসাজশে স্ট্রাইকার্স এন্ডে রিচমন্ড মুতুম্বামি আউট হন ১৭ রানে।
২ ওভার পর ডোনাল্ড তিরিপানো ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। মাত্র ২ রান করেন তিনি। এরপর সাইফ তার শি’কার বানান কার্ল মুম্বাকে ১৩ রানে বোল্ড করে। মাশরাফি তার ৭ম ওভারে মুতুম্বোজিকে আউট করে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ১৬৯ রানে জয়ী বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ইনিংস: ৩২১/৬ (৫০ ওভার)
(লিটন ১২৬, তামিম ২৪, শান্ত ২৯, মুশফিক ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৩২, মিথুন ৫০, সাইফউদ্দিন ২৮*, মিরাজ ৭, মাশরাফি ০*; এমপোফু ২/৬৮, মুম্বা ১/৪৫, মাধিভিরে ১/৪৮, তিরিপানো ১/৫৬, সিকান্দার ০/৫৬, মুতোমবোদজি ১/৪৭)।
জিম্বাবুয়ে ইনিংস:
(কামুনহুকামউই ১, চিবাবা ১০, চাকাভা ১১, ব্রেন্ডন টেইলর ৮, মাধিভেরে ৩৫, সিকান্দার ১৮, মুতুম্বামি ১৭, মুতোমবোদজি, তিরিপানো ২, মুম্বা; মোস্তাফিজ, সাইফউদ্দিন, মাশরাফি, তাইজুল, মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ)।
ম্যাচ সেরা: লিটন দাস