সময় এখন ডেস্ক:
দেশের প্রায় আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আগামী শনিবার (২২ জুন)। দিন দ্বিতীয় দফায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুরা এই ভিটামিন পাবে।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমান কেন্দ্র থেকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো খাবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিক এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে ভিটামিন খাওয়ানো হবে তা সম্পূর্ণ নিরাপদ। কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শিশুদের খালি পেটে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো ভালো। তবে অসুস্থ কোনো শিশুকে এই ভিটামিন খাওয়ানো ঠিক হবে না। এছাড়া শিশুকে জোর করে কিংবা কান্নারত অবস্থায় এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গত ১৯ জানুয়ারি ছিল ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনের নির্ধারিত দিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমদানিকৃত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পেইন স্থগিত করে।
জাহিদ মালেক বলেন, ২২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ ২০ হাজার কেন্দ্রে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরীঘাট, ব্রীজের টোল প্লাজা, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু ব্রীজ, দাউদকান্দি ও মেঘনা ব্রীজ, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ২ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যাম্পেইন দিবসেই ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। তবে দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ১২টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন (২৩ থেকে ২৬ জুন) বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করে বাদ পড়া শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
শনিবার এ বছরের মতো শেষ বার এই ক্যাম্পেইন করা হবে।
প্রসঙ্গত, শিশুদের রাতকানা ও অপুষ্টি দূর করতে ১৯৭৪ সাল থেকে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে। যখন এই কার্যক্রম গ্রহণ করেন তখন ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৩.৭৬ শতাংশ। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচেই রয়েছে।