লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
আমাদের তরুণ সমাজ অহেতুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় ব্যয় করেন অনেক বেশি। প্রয়োজন ছাড়াও ব্যয় করা এই সময়টাকে যদি অর্থবহ করা যায়, কোনো সৃজনশীল কাজে খাটানো যায়, তবে তা থেকে উপার্জন করা যায় অর্থ। নিজের খরচ ছাড়াও তা দিয়ে পরিবারকে সাপোর্ট দেয়া যায়। অনেকেই খণ্ডকালীনভাবে শুরু করে এক পর্যায়ে পড়ালেখা শেষ করে চাকরি খোঁজার পেছনে সময় নষ্ট না করে এখানেই ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। আজ তারা সফল।
অনলাইন থেকে আয় করতে হলে নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে। জানতে হবে কোথায়, কোন সাইটে গিয়ে অনলাইনে আয় করা যায়। পাশাপাশি নিজের দক্ষতাও বাড়াতে হবে। আপনার যদি বিভিন্ন কাজে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে এসব সাইটে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। দেখে নিন সেই সাইটগুলো কী-
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট বলতে অনেকেই আপওয়ার্ককে বুঝে থাকেন। এটি প্রথমে ওডেস্ক নামে কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৫ সালে নাম পরিবর্তন করে আপওয়ার্ক নামে আসে। তখন আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ‘ইল্যান্স’ আপওয়ার্কের সাথে একীভূত হয়। আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘণ্টা ভিত্তিক (আওয়ারলি) রেটে কাজ পাওয়া যায়। এখান থেকে অর্থ তুলতে পেপাল, পাইওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম হচ্ছে একদম প্রথম সারিতে থাকা একটি অনলাইনভিত্তিক জব মার্কেটপ্লেস, যেখানে ফিক্সড প্রাইস এবং আওয়ারলি রেটের প্রজেক্ট পাওয়া যায়। এখানে প্রচুর অনলাইন জব আছে এবং ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও অনেক। কোম্পানিটির হেড অফিস অস্ট্রেলিয়ায়। ফ্রিল্যান্সার ডটকম থেকে প্রাপ্ত প্রজেক্টে কাজ করে অর্জিত অর্থ উত্তোলন করার জন্য আছে পেপাল, স্ক্রিল, পাইওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার সিস্টেম।
ফাইভারে ৫ ডলার থেকে শুরু করে ভালো অ্যামাউন্টের প্রজেক্ট পোস্ট করা হয়। লোগো ডিজাইন, ভয়েস রেকর্ড, আর্টিকেল লেখা, প্রভৃতির জন্য ফাইভার অত্যন্ত জনপ্রিয়। বায়াররা সরাসরি ফ্রিল্যান্সার সার্চ করেও প্রজেক্ট অফার করেন এই সাইটে। ফাইভার থেকে আয়কৃত অর্থ তোলার জন্য পেপাল, পাইওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
লন্ডন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক পিপল পার আওয়ার হচ্ছে অনলাইনে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় সাইট। এখানে ফিক্সড প্রাইস ও আওয়ারলি রেটে প্রজেক্ট পাওয়া যায়। পিপল পার আওয়ার থেকে আয়কৃত অর্থ তোলার জন্য পেপাল, স্ক্রিল, পাইওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
বিল্যান্সার হচ্ছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে বিভিন্ন প্রকার দেশি প্রজেক্ট পাওয়া যায়। বিল্যান্সার দেশের বাইরে থেকেও ক্লায়েন্ট ও ফ্রিল্যান্সার আনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে। বিল্যান্সার ডটকমে মাইক্রো আকারের (১০০ টাকা) প্রজেক্ট থেকে শুরু করে অনেক বড় অ্যামাউন্টের প্রজেক্টও আসে। বর্তমানে এখানে শুধু ফিক্সড প্রাইসের জব আছে। আপনি চাইলে বিল্যান্সারে রেজিস্ট্রেশন করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং জগতের প্রাথমিক ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।