বিশেষ সংবাদদাতা:
অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে, তা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগই হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক। আওয়ামী লীগ না থাকলে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সুরক্ষিত হতো না। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হতো একটি পাকিস্থানি ধারা।
গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রতিবেদককে একথা বলেন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সিপিবি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠকে দুই দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেক মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার পক্ষে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
সিপিবি সভাপতি সেলিম বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যে ধারার সূচনা হয়েছিল এই দেশে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সে ধারা রোহিত করে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আমরা সময়ে সময়ে বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করি। সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য সেটা জরুরীও। কিন্তু অনেক সমালোচনার পরও একথা স্বীকার করতেই হবে, শেখ হাসিনা ছিলেন বলেই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে একটি মাইলফলক। আওয়ামী লীগের আমরা যতই সমালোচনা করি না কেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সুরক্ষিত করা সম্ভব নয়।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরও বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর শুধু আওয়ামী লীগই জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদ করেনি, সিপিবিও করেছে। স্বাধীনতার জন্য আওয়ামী লীগ যেমন রক্ত দিয়েছে, তেমনি সিপিবিও রক্ত দিয়েছে। আমাদের সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে বাঁধা। তাই সাময়িকভাবে আমাদের দূরত্ব হতে পারে। কিন্তু এই সম্পর্ক কখনো ভাঙার নয়।