সিলেট সংবাদদাতা:
সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার মসজিদের ইমাম কর্তৃক মাত্র ৮ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণ ও বেঁধে রাখার খবর পাওয়া গেছে। অবস্থাদৃষ্টে জানা গেছে, নিশ্চিতভাবেই ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলতো ওই নরপিশাচ ইমাম, যদি তাকে জীবিত উদ্ধার করা না যেত।
ছবিতে যে লোকটিকে হাত বাঁধা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, সেই লোকটি সিলেটের জকিগঞ্জের হাজারীচক গ্রামের পশ্চিম মহল্লা নতুন পাঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম হাসান আহমদ (২৫)। জকিগঞ্জ উপজেলার হাজারীচক গ্রামের জুবের আহমদের শিশুকন্যা কলাকুটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া নিশাত আক্তার (৮)-কে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার হুজরায় (মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিনের থাকার ঘর) নিয়ে হাত, পা ও চোখ বেঁধে রাখে। এদিকে শিশুটির খোঁজ শুরু হয় বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে। চারদিকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সেই ইমামকে দিয়েই মসজিদের মাইকে নিখোঁজ সংবাদ ঘোষণা দেয়ানো হয়!
জানা গেছে, দৌলতপুর গ্রামের কুতুব উদ্দিনের পুত্র হাসান আহমদ শিশু নিশাত আক্তারকে তার হুজরায় হাত, পা ও চোখ বেঁধে খাটের নিচে ঢুকিয়ে রেখে মুসল্লিদেরকে আসর ও মাগরিবের নামাজও পড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোথাও নিশাতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না যখন, তখন অপর একটি শিশু নিশাতের জুতার এক পাটি ইমামের হুজরার বাইরে পড়ে থাকতে দেখে অন্যদেরকে জানায়। তারপর সন্দেহবশতঃ ইমামের হুজরা তল্লাশি করে নিশাতকে হাত, পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় খাটের নিচে পাওয়া যায়। পরে মসজিদের ইমাম হাসান আহমদকে গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে জনতার রোষ থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহতাব আহমদ চৌধুরী তাকে উদ্ধার করে ৯নং মানিকপুর ইউনিয়ন কার্যালয়ে রেখে পুলিশে খবর দেন।
মাহতাব আহমদ জানান, স্থানীয়দের ধারণা, শিশু নিশাতকে আবারও রাতে কয়েকদফা ধর্ষনের পর রাতেই হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলত শিশু ধর্ষক ইমাম হাসান আহমদ। শুধুমাত্র ভাগ্যের জোরেই মেয়েটি বেঁচে গেছে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, আজ (সোমবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।