হেঁসেল ঘর:
কাঁকড়া একটি সুস্বাদু এবং উচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। লো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট হওয়ায় কাঁকড়া নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, রিবোফ্লেবিন, নিয়াসিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস। এটি প্রোটিনের একটি বড় উৎস। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি১২, জিংক, কপার ও সেলেনিয়াম। তবে যাদের কোলেস্টেরলের ঝুঁকি রয়েছে এবং কিডনী জটিলতায় ভুগছেন, তাদের কাঁকড়া খাওয়া উচিৎ নয়।
রন্ধন প্রণালী না জানায় অনেকেই কাঁকড়া ঘরে রান্না করতে চান না। তবে রসিয়ে কষিয়ে রেঁধে সবাইকে নিয়ে খেতে বসলে এটি পারিবারিক আবহটাই বদলে দিতে পারে। সময় এখন ডটকম আজ পাঠকদের জন্য ঝাল কাঁকড়ার রন্ধন প্রণালী নিয়ে হাজির হয়েছে।
যা যা লাগবে:
- কাঁকড়া: ৮টা বড় বা ১০-১২টা মাঝারি আকারের
- পেঁয়াজ: ২টা বড় (স্লাইস করা)
- টমেটো পিউরি: ১ কাপ
- রসুন: ১০ কোয়া (বাটা)
- আদা বাটা: ২ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ: ৩/৪টা (কুঁচি)
- গুঁড়ো হলুদ: ২ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়ো: ২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
- জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
- গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
- তেজপাতা: ২টা বড় বা ৩টা ছোট
- ছোট এলাচ: ৪টা
- দারুচিনি: ১টা স্টিক (মাঝারি)
- লবঙ্গ: ৪টা
- সর্ষের তেল: ২-৩ টেবিল চামচ
- ধনে পাতা: ইচ্ছেমত
রন্ধন প্রক্রিয়া:
একটা ভারী গড়নের কড়াইতে তেল গরম করুন। দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা ফোঁড়ন দিন। সুন্দর গন্ধ বের হলে পেঁয়াজ স্লাইস দিয়ে স্বচ্ছ হওয়া পর্যন্ত নাড়ুন। আদা ও রসুন বাটা দিয়ে পেঁয়াজ সোনালি করে ভেজে নিন।
অন্য দিকে কাঁকড়াগুলোর দাঁড়া কেটে নিয়ে অর্ধেক করে কেটে নিন। লবন মাখিয়ে রাখুন। পেঁয়াজ সোনালি হয়ে এলে টমেটো পিউরি দিয়ে তেল ছাড়তে থাকা পর্যন্ত নাড়ুন। যখন টমেটোর কাঁচা গন্ধটা চলে যাবে তখন সব গুঁড়ো মশলা দিয়ে ২ মিনিট কষিয়ে নিন। প্রয়োজন মনে হলে অল্প পানি দিতে পারেন।
এবার কাঁকড়াগুলো দিয়ে ভাল করে মশলার সঙ্গে মিশিয়ে ৩ কাপ পানি দিন। লবন দিয়ে ঢাকনা চাপা দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন ২০-২৫ মিনিট। তারপর চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে আরও ৩-৪ মিনিট রাখুন। নামানোর আগে একটু কুঁচানো ধনে পাতা ছড়িয়ে দিতে পারেন।
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ঝাল কাঁকড়া, অথবা এমনিতেও খেতে পারেন।